সেইজন্য মসীহ্ শরীরে কষ্ট সহ্য করেছিলেন বলে তোমরাও নিজেদের দিলে সেই একই মনোভাব গড়ে তোল, কারণ শরীরে যে কষ্ট ভোগ করেছে সে গুনাহের অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছে। তার ফলে এই দুনিয়ার বাকী জীবনটা সে আর দুনিয়ার কামনা-বাসনা তৃপ্ত করে কাটায় না, বরং আল্লাহ্র ইচ্ছা পালন করেই কাটায়। যারা আল্লাহ্কে জানে না তাদের মত তোমরাও আগে লমপটতা করে, খারাপ কামনা-বাসনার মধ্যে থেকে, মাতলামি করে, হৈ-হল্লা করে মদ খেয়ে ও খাওয়া-দাওয়া করে এবং জঘন্য প্রতিমাপূজা করে অনেক সময় কাটাতে।
কিন্তু এখন সেই লোকেরাই দেখে আশ্চর্য হয় যে, তোমরা তাদের সেই ভীষণ উ”ছৃঙ্খলতায় আর যোগ দিচ্ছ না, আর সেইজন্য তারা তোমাদের বিরুদ্ধে নিন্দার কথা বলে। কিন্তু যিনি জীবিত ও মৃত সকলের বিচার করবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন তাঁর কাছে তাদের হিসাব দিতে হবে। মৃতদের কাছেও তো সেইজন্য মসীহের বিষয়ে সুসংবাদ তবলিগ করা হয়েছিল, যেন শরীরের দিক থেকে মানুষের মতই তাদের বিচার হলেও রূহে তারা আল্লাহ্র মত জীবিত থাকতে পারে।
এখন সব কিছুর শেষ সময় কাছে এসে গেছে। সেইজন্য তোমাদের মন স্থির কর এবং নিজেদের দমনে রাখ যেন মুনাজাত করতে পার। আর সবচেয়ে বড় কথা হল, তোমরা একে অন্যকে গভীর ভাবে মহব্বত কোরো, কারণ মহব্বত অনেক গুনাহ্কে ঢেকে রাখে। কোন রকম বিরক্তি প্রকাশ না করে তোমরা একে অন্যকে মেহমান হিসাবে গ্রহণ কর। বিভিন্ন ভাবে প্রকাশিত আল্লাহ্র রহমত পেয়ে যে লোক বিশ্বস্ত ভাবে তা কাজে লাগিয়েছে, সেই রকম লোক হিসাবে তোমরা আল্লাহ্র কাছ থেকে যে যেরকম দান পেয়েছ তা একে অন্যের সেবা করবার জন্য ব্যবহার কর। যদি কেউ প্রচার করে তবে সে এইভাবে প্রচার করুক যেন সে আল্লাহ্র নিজের মুখের কথা বলছে। যদি কেউ সেবা করে তবে আল্লাহ্র দেওয়া শক্তিতে সে সেবা করুক, যেন ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে সব কিছুতে আল্লাহ্ প্রশংসা পান। প্রশংসা ও শক্তি চিরকাল তাঁরই। আমিন।
প্রিয় বন্ধুরা, তোমাদের যে এখন অগ্নি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাতে আশ্চর্য হয়ে মনে কোরো না যে, তোমাদের উপর অদ্ভুত কিছু একটা হচ্ছে। তার চেয়ে বরং তোমরা যে মসীহের দুঃখভোগের ভাগ নি”ছ তাতে আনন্দিত হও, যেন তাঁর মহিমা যখন প্রকাশিত হবে তখন তোমরা আনন্দে পূর্ণ হও। মসীহের জন্য যদি তোমরা অপমানিত হও তবে ধন্য তোমরা, কারণ আল্লাহ্র মহিমাপূর্ণ রূহ্ তোমাদের উপর আছেন। তোমাদের মধ্যে কেউ খুনী, চোর, অন্যায়কারী হয়ে বা অন্যায়ভাবে অন্যের ব্যাপারে হাত দিয়ে কষ্ট ভোগ না করুক। কিন্তু ঈসায়ী হিসাবে যদি কেউ কষ্ট ভোগ করে তবে সে লজ্জা না পাক, বরং তার সেই নাম আছে বলে সে আল্লাহ্র প্রশংসা করুক।
বিচার শুরু হবার সময় হয়েছে এবং তা আল্লাহ্র পরিবারের লোকদের থেকেই শুর করা হবে। আর যদি সেই বিচার আমাদের থেকেই শুরু করা হয় তবে যারা আল্লাহ্র দেওয়া সুসংবাদ মেনে নেয় নি তাদের অবস্থা কি হবে? কিতাবে আছে, আল্লাহ্ভক্ত লোকের নাজাত পাওয়া যদি এত শক্ত হয়, তবে যারা গুনাহ্গার আর আল্লাহ্র প্রতি ভয়হীন, তাদের অবস্থা কি হবে?
তাহলে আল্লাহ্র ইচ্ছাতে যারা কষ্টভোগ করছে, তারা তাদের বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্তার হাতে নিজেদের তুলে দিক এবং ভাল কাজ করতে থাকুক।
পিতর